Saturday, August 9, 2008

দেশে যাব, কিন্তু ...

খাতার পাতায় ক্যালেন্ডার আঁকা আর দিন কাটাকাটির খেলা আমার আর শেষ হল না। সেই ক্লাস সেভেন যখন ক্যাডেট কলেজ গেলাম সেদিন থেকে শুরু হল খাতার পাতায় বাড়ি যাবার দিন গুনার জন্য স্পেশাল ক্যালেন্ডার বানানো। বানিয়ে সেটা রেখে দিতাম। অনেক দিন পর একবার বের করে একসাথে দিন কাটতাম। আর দেখতাম আর কত দিন বাকি। এখনো বানাই তবে এখন আর দিন না মাস, বছর এইসব গুনি। এরকম দিন কাটাকাটি করতে করতেই হঠাৎ করে দেখি আর মাত্র ৭ দিন আছে আমার দেশে যাবার। আগামী সপ্তাহে এই দিনে আমার ঈদ। শনিবার প্লেনে উঠব। অনেক দিন থাকব যদিও তাও দেখা যাবে যেদিন দেশে নামব তারপর থেকে দিনগুলা হয়ে যাবে ৫-৭ ঘন্টার মনে হবে পরদিনই আমার চলে আসার দিন এসে গেল। আগষ্ট এর ১৬ তারিখে রওনা দিয়ে সেপ্টেম্বর এর ২৯ তারিখে ফিরব। একটাই আফসোস আসল ঈদটা পাবনা। ঈদ পাবনা তা ব্যাপার না ব্যাপার হল ঈদের ৪-৫ দিন আগে ফিরে আসতে হবে। ঈদ করিনা অনেক বছর তাই সেটা গায়ে লাগবে না তবে এই ঈদ পেতে পেতেও না পাওয়াটা মনে হয় কষ্ট হবে।
আরো একটা মন খারাপ লাগা আছে। সেদিন এক আপু মেইলে বলল তোর জন্য আমার চিন্তাই লাগছে তুই দেশে আসবি কিন্তু তোর মনে হয় মন খারাপ হবে বিরক্ত লাগবে, মেজাজ খারাপ হবে। কারণ এসে দেখবি বন্ধুদের সবার চাকরি হয়ে গেছে কিংবা অনেকে বাইরে চলে গেছে। পরে চিন্তা করে দেখলাম আসলেই তাই হবে। এই পর্যন্ত যতবার দেশে গিয়েছি গিয়েই পরেরদিন বের হয়েছি বন্ধুদের খোঁজে । এইবার গিয়ে অপেক্ষা করতে হবে পরের উইকএন্ডের জন্য তাও সবাই এক সাথে ছুটি পায় না। কারো দেখা গেল শুক্র শনি, কারো বা শনি রবি আবার কারো বা বৃহস্পতি , শুক্র। সেখানে আবার প্রায় সবারই কিছু পার্সোনাল রিলেশন আছে সেখানে সময় দিতে হয়। মনে হয় এইবার দেশে গেলে অনেক পরিবর্তন দেখব। ব্যগা গোছানো ছাড়াও মনকেও গুছাতে হবে দেশে যাওয়ার আগে যাতে এইসব দেখে মন খারাপ না হয়।

Friday, August 1, 2008

আপুসোনা ---৫


-ঐ শালা কার্ড দে, এইটা দাবা খেলা না।
-বেশি ভাব মারিস না শামস। twenty nine খেলতে আয় তোকে খেলা শিখিয়ে দেব। ব্রীজটা নতুন শিখেছি বলে ভাব মারতেছিস।
হাহাহা করে হেসে উঠে সবাই তপুর কথা শুনে। আজ বহুদিন পরে ওদের রাতের আসর বসেছে। আজ রাফির বাসায়।
-তোরা ৪ জন খেললে আমি কি করব বসে বসে।আয় ৬ জনে মিলে lorries খেলি।জ্যোতির প্রস্তাব।
-রাফিকে রাজি করাতে পারলে আয়। তোর দোষেই তুই বসে আছিস।৯ টায় আসার কথা তুই এসেছিস ১১টায়।মীমের নির্বিকার গলা।জ্যোতি বসে আছে এতে ওর কোন মাথাব্যাথা নেই।বরং খুশিই হচ্ছে।
-রাফি খেলবে কার্ড তাইলেই হইছে।ও sure কার্ড খেলতে বসলেও মিথ্যা কল দিবে।ফোঁড়ন কাটল শামস।আবার হেসে উঠে সবাই।
শুধু মর্তুজাই চুপচাপ খেলে যাচ্ছে।কোনদিকে খেয়াল নেই ওর।
-ইদানিং মর্তুজার কি হইছেরে কথাবার্তা বলিসই না একদম।কোন কিছুতেই আগ্রহ নাই তোর। শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলে তপু।
-আমার আবার কি হবে ।এইতো খেলছি।
-কি জানি তোকে দেখলে মনে হয় পৃথিবীর সব দুঃখ তোর। কোন কিছুতেই আগের মত আগ্রহ দেখাস না।অনেকদিন ধরেই খেয়াল করছি বলা হয়না।
-ধূর কিছু হয়নাই।তুই বেশি বুঝস।উড়িয়ে দেয় মর্তুজা।
-তপু তো মনে হয় জটিল আলোচনা শুরু করতে চাচ্ছিস।কিন্তু জটিল আলোচনার নিয়ম তো যে থাকবে না তাকে নিয়ে আজকে মর্তুজা কে নিয়ে কেন।
-নারে শামস মনে হয় বড় হয়ে গেছি। যাই বলি সব জটিল হয়ে যায়।আগে জীবন সহজ সরল ছিল আয়োজন করে আমরা জটিল আলোচনা করতাম।
হঠাত একটু চুপ হয়ে যায় আসরটা।সবাই মনে মনে মেনে না নিয়ে পারে না তপুর কথা। সবারই কোন না কোন ঝামেলা আছে যেটা নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না।
মর্তুজা ভাবে, সব কথা কি বলা যায়।তাও ভালো আমাকে তোরা খেয়াল করছিস।আমি change হচ্ছি এতে কারো তো কিছু এসে যাচ্ছেনা বলে মনে হয় আমার।
-ধুর তপু তুই একটা foul, আঁতলামি শুরু করছস। সর আমি খেলি।
-তোর শাস্তি এখনো শেষ হয়নাই।২ ঘন্টা পরে আসছিস ২ ঘন্টার আগে তুই খেলার নামই মুখে আনতে পারবিনা।
এ সময়ে বেজে উঠে মোবাইল।তপু মোবাইলটা নিয়েই কার্ডগুলো জ্যোতির দিকে বাড়িয়ে দেয়।
-নে তোর কপাল খুলে গেল। আমি কথা বলি।
আর কোন কথা না বলে তপু পাশের রুমে চলে গেল।রাফির বাসায় আজ ওরা ছাড়া কেউ নেই।
-কি ব্যাপার রে , ঘটনা কি?তপু কার্ড ছেড়ে উঠে গেল মনে হচ্ছে লম্বা ব্যাটিং দিবে।এটা তো মর্তুজা আর জ্যোতির কাহিনী।তপুর কিছু হল নাকি?মীমের প্রবল কৌতুহল।
-নাহ sure লাবণী আপু।মর্তুজার উত্তর। ঐ শালা ইদানিং buet এও আমাদের পাত্তা দেয়না।লাবণী আপুরে পাইলেই হইছে।কঠিন খাতির হইছে। প্রতিদিন ই নাকি আপু ফোন করে।
-তপু শালা একটা লুইচ্চা হইছে।
-তুই এত jealous কেন শামস।
-তুই আবার কথা কস কেন তুই ও তো ।
জ্যোতি আর শামসের মধে চলে খুনসুটি।ওদের আড্ডায় এরকম পঁচানো চলবেই।একটু পরে দেখা যাবে জ্যোতি আর শামস মিলেই অন্য একজনকে পঁচাচ্ছে।
-ঐ রাফি ল্যাপটপ গুতাচ্ছিস কেন।দেখাস নাকি।গান ছাড়।
-নারে আমার কালকেই একটা report জমা দিতে হবে।
-মীম যা তো কিছু গান ছাড়।ঐ শালার কথা বিশ্বাস করিস না ।চাপা মারে শালায়।
-আরে না না চাপা না ও মিছা কথা কয়।
শামসের কথা শুনে হেসে উঠে সবাই।
রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে ওদের হাসির মাত্রাও বাড়তে থাকে।রাতের একটা মাদকতা আছে।রাত গভীর হলে এমনিতেই সবার মাথা আউলা হয়ে যায় তাই।


লাবণী আপুর সাথে কথা বলে রুমে ঢুকে তপু।ঢুকেই সবার তোপের মুখে ও। কোন কথাই কানে ঢুকে না অবশ্য।অদ্ভুত এক ভালো লাগায় মনটা ভরে আছে ওর।জানে বন্ধুদের এইসব বাঁকা কথায় কান না দিলেও চল্বে।কোণ topic পেলে পঁচানোর chance ছাড়বেনা কেউই।কোন কথাই mean করে বলে না কেউ।ওর মনের মধ্যে এখন শুধু একটাই নাম ওর আপুমনি।একটা জিনিস কিছুতেই ভেবে পায়না ও এত আদর করে একজন কিভাবে কথা বলে। ওর সাথে কথা শুনলে মনে হয় ও অনেক পিচ্চি একটা বাচ্চা এখনই ওকে কোলে তুলে আদর করবে।এত আদর পেয়ে অভ্যস্ত নয় তপু।তাই ওর অসম্ভব ভাল লাগে।কখন যে ১ ঘন্টা পেরিয়ে যায় টেরই পায়না ।প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে কথা বলেও তাই শখ মিটে না তপুর।সবসময় চিন্তা করে ইশশ লাবণীটা যদি ওর আপন বোন হত। নিদেনপক্ষে খালাতো মামাতো।অথবা ওদের বাসাটা যদি লাবণীদের আশে পাশে থাকত।

সারাদিন কার্ড খেলে কিংবা আড্ডা দিয়ে সকাল হলেই ওরা যে যার জায়গায় চলে যায়। এই হয়ে আসছে সবসময়।কখনো মীমের বাসা কখনো তপুর বাসায়। আজই প্রথম রাফির বাসায়। আন্টি আঙ্কেলের কাছে চট্রগ্রাম চলে যাওয়াতে আজ এখানে এসেছে ওরা।
-আমরা এক সাথে হলেই শুধু কার্ড খেলি।কেমন boring হয়ে যাচ্ছে।তপু বলল । অন্য কিছু করা যায়না?
-কেন তোর লাবণী আপু মানা করেছে কার্ড খেলতে।মীমের প্রশ্ন।
-আরে তা না, বলছিলাম অন্য কিছু করা যায় কিনা।মনে মনে ভাবে তপু আসলেই তো কার্ড খেলছে শুনে মৃদু ঝাড়ি দিল আপু।
-চল কক্সবাজার যাই এই বৃহস্পতিবার।
শামসের প্রস্তাব শুনে হৈহৈ করে উঠল সবাই।তপুই শুধু কিছু বললনা।ও জানে ওর পক্ষে যাওয়া সম্ভব হবে না।বৃহস্পতি শুক্রবার ও খুব busy থাকে।আর বাসা থেকেও যেতে দিবে না আম্মু।
-তপুরে জিজ্ঞেস কর। ওর বাসা থেকে যেতে দিবে কিনা।মর্তুজাই বলল কথাটা।
-না ঠিক তা না। বাসায় সমস্যা নাই।কিন্তু আমি তো বৃহস্পতি আর শুক্র omeca তে ক্লাস নেই। কিভাবে যাই।
-এক সপ্তাহ ক্লাস না নিলে দুনিয়া উলটে যাবেনা। তুই ছাড়াও অনেকে আছে ক্লাস নেওয়ার।ভাব দেখাইসনা। রেগে উঠে জ্যোতি।
-দেখি তোরা প্ল্যান কর আমি পরে জানাচ্ছি।
রাত পার হয়ে যায় কখনো কার্ড খেলে কখন আড্ডা বা কক্সবাজার যাবার প্ল্যান করে।তুমুল এই জমজমাট আড্ডায় থেকে ৬ তরুণের মনে হয় ওরাই বুঝি পৃথিবীর সেরা circle।ওরা জানেনা পৃথিবীর সব circle ই এটা মনে করে।

আমার কাজলাদিদিরা - ১ ( সুমি আপু )

ঠিক কবে মনে নেই কিন্তু খুব ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার একটা বড় বোনের শখ হয়ে গেল ( আজো গেল না )।
" মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই?"
এই প্রশ্নটা আজীবন খুঁজে ফিরছি। একটু একটু যখন বড় হলাম গল্পের বই পড়া শুরু করলাম তখন এই ইচ্ছাটা দিনকে দিন বাড়তে লাগল। শরৎচন্দ্রের বড়দিদি, মেঝদি, পড়তে পড়তে ছোট্ট আমার কত দীর্ঘশ্বাস বের হল তার খবর কেউ রাখেনি। কেন যে আমার এত বোনের শখ আমি নিজেও জানিনা। আসলেই কি বোনরা অনেক বেশি আদর করে? আমার যেহেতু বোন নেই তাই আমার এই বিষয়ে অনেক কল্পনা অনেক রকমের চিন্তাভাবনা। যদি শুধু চিন্তার উপর পিএইচডি থাকত তাহলে আমি পেয়ে যেতাম। কত রকম চিন্তা যে করি আমার একটা বোন থাকলে এই করত ওই করত। পরবর্তীতে এক ভাইয়ার কাছে শুনেছিলাম উনার বড় আপু নাকি হোষ্টেলে থাকত উনি বাসায় এসেই প্রথমে নাকি আম্মুর সাথে একটা ঝগড়া করত কারন হচ্ছে তার আগেই নাকি উনি বোনের কাছে বিচার দিয়ে দিতেন অমুক দিন তমুক দিন মা ওনাকে মেরেছেন। আর আমি মনে মনে ভাবি ইশশ , আমি তো এইরকম একটা বড় বোন চেয়েছিলাম।
এই জন্যই মনে হয় ছোটবেলা থেকেই আমি আমার আশে পাশে সবসময় বড়বোন খুঁজেছিলাম। সেই খোঁজার ফলে আমার জীবনে অনেক গুলা আপুই এসেছে। কেউ কেউ আমাকে আসলেই ছোটভাইর মত আদর করেছে কাউকে কাউকে আমি নিজেই মনে মনে আপুর আসন দিয়েছি উনি হয়ত জানেই না।
সবার সাথে যে আজ যোগাযোগ আছে তাও না। কিন্তু মাঝে মাঝেই হঠাৎ করে কারো কথা মনে পড়ে। সেই আপুদের গল্প আমার এই কাজলাদিদিরা।

আমি তখন ক্লাস ৩ তে পড়ি। সবেই আমরা সিলেট থেকে ঢাকাতে এসেছি। থাকি পোস্তাগোলার দিকে জায়গার নাম জুরাইন। সেখানে আমরা যে বাসায় ভাড়া থাকি তার পাশের বাসাতেই একটা আপু ছিলেন। আমার ৩-৪ বছরের বড় হবেন। উনি মনে হয় তখন ৭ এ পড়েন। আমাদের তখন একটা বিশাল পিচ্চি কাচ্চার দল । প্রায় ১০-১২ জন আমরা সেখানে। সবাই মিলে এটা ওটা খেলি। ছোটবেলায় আমি বউচি থেকে শুরু করে হেন খেলা নাই যা খেলিনাই। কুতকুত ও খেলেছি এবং ভাল বউ ছিলাম (বউচি খেলার ) । সেই প্রথম মনে হয় আমার আপু বানানো শুরু। যদিও ঐ আপু আমার থেকে আমার ছোটভাইকেই বেশি আদর করেন। কেন যেন সবসময় এইটাই হয়েছে। আমার ফ্যামিলির মধ্যেও যত খালাত ভাই বোন আছে সবাই দেখি হয় আমার বড় ভাই নয় আমার ছোট ভাইকেই বেশি আদর করে। সেই জন্য ছোটবেলায় আমি অনেক কম আদর পেতাম।
যাইহোক সেই আপুকে আমি তখন থেকেই মনে মনে আপু হিসেবে ভাবতাম। কেমন যেন মনে হত ইশশ এই আপুটা যদি কনক( আমার ছোট ভাই ) থেকে আমাকে বেশি আদর করত। কখনো বলা হয়নি তাকে। একদিন হঠাৎ শুনলাম ওই আপুরা আমেরিকা চলে যাবে। আমি তখন ক্লাস ৪ পাশ করে ৫ এ উঠব। ওনারা সপরিবারে আমেরিকা চলে গেলেন। আমার আর কোন দিন তাকে বলা হল না তুমি আমার আপু হবে?
এরপর থেকে আমি অনেকদিন ভাবতাম আমি কোন একদিন আমেরিকা যাব , সুমি আপুর সাথে আমার দেখা হবে। তখন তাকে আমি বলব আপু সেইসময় আমার খুব মনে হত আপনি যদি আমাকে কনকের থেকে বেশি আদর করতেন। সবচেয়ে অবাক হয়ে গেলাম প্রায় ১২ বছর পরে যখন আমি জাপানে থাকি হঠাৎ করে আম্মু বলল সুমির ফোন নম্বর আছে। সাথে সাথেই আমি ফোন নাম্বার নিয়ে ডায়াল করলাম আমেরিকায়। খুব এক্সাইটিং লাগছিল। এত বছর পরে আপু কি আমাকে চিনতে পারবে? এখনো আগের মত আছে কিনা?
প্রথমদিন ফোনে পেলাম না কিন্তু ওনার গলা শুনা গেল। মেসেজিং এ দেখি বেশ দুঃখ প্রকাশ করল ফোন ধরতে না পারার জন্য। দেখলাম নাহ সুমি আপুর গলা চেঞ্জ হয়নি। আবার একদিন ফোন করলাম এরপর পেলাম সুমি আপুকে। দীর্ঘ ১২ বছর পর আবার ওনার সাথে আমার কথা হল। প্রথম অনেকক্ষণ আমরা পুরান আলাপ করলাম। ছোটবেলার সেইসব স্মৃতি আরো কত কি। এরপর মাঝে মাঝেই ফোন করা হত। তখন বলতাম আপু ছোটবেলায় আমি এইরকম ভাবতাম। উনি বলল কে বলল আমি তোমাকে কম আদর করতাম। তোমাকেও আদর করতাম তো কিন্তু কনক বেশি ছোট ছিল তো সেই জন্য। আমি বলি ওইটাই তো আসল সমস্যা ও ছোট বলে আমার আদর অনেক জায়গাতেই কমে যেত। পৃথিবীতে আসলেই কত কি যে ঘটে নইলে সুমি আপুর সাথে যে আমার আবার কখনো যোগাযোগ হবে কখনো চিন্তাই করিনি। হয়তবা এইবার দেশে গেলে ওনার সাথে আমার দেখাও হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর উনি নাকি বাংলাদেশে যাবেন। বেশ আশা নিয়ে বসে আছি আপু সেই আগের মতই আছে কিনা।
(-চলবে)